পাঠদান চালু রাখতেই শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    72


    করোনা মহামারিতে নতুন করে যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখতে না হয় সে জন্য মাধ্যমিকের পর প্রাথমিকের শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এত দিন যেখানে গিয়েছি সবাই জিজ্ঞেস করেন শিশুদের টিকা কবে দেব? সে অনুযায়ী আজ পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দিচ্ছি। আমরা করোনা মোকাবিলা ও চিকিৎসা সফলভাবে করতে পেরেছি। একই সঙ্গে টিকাদানে সফল হয়েছি। এমনকি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে বিশ্ব নেতারা নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন।’ 

    বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। 

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘বিশ্বের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে আমরা পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় সবার শীর্ষে। এখন পর্যন্ত মোট ৩১ কোটি ৯ লাখ ভ্যাকসিন হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ১১ কোটি ভ্যাকসিন বিনা মূল্যে পেয়েছে বাংলাদেশ। আমাদের শিশুরা টিকা নিয়ে আরও সুরক্ষিত থাকবে। আমরা চাই ছেলে-মেয়েরা কোনভাবেই যাতে শিক্ষা থেকে দূরে না থাকে। কারণ, করোনায় এ ক্ষেত্রে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। তাই, শিশুরা যাতে দ্রুত টিকা পায়, সে জন্য অভিভাবকদের নিবন্ধন করতে হবে।’ 

    টিকাদান কার্যক্রম অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘দেশের বড় একটি অংশকে টিকার আওতায় এনেছি। ৮৩ ভাগ মাধ্যমিকের শিশুও দুই ডোজের টিকা পেয়েছে। এবার ৫ বছরের শিশুদেরও দিচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্র টিকাদানে আমাদের বড় সহযোগিতা করেছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আজকে যে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে, মূলত এই কাজে গণশিক্ষা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা থাকবে। আমাদের শিশুরা যাতে পুরোপুরি একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে সেই লক্ষ্যেই তাদের টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।’

    বাংলাদেশের টিকাদান কার্যক্রমের প্রশংসা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. রাজন্দ্র বড়ুয়া বলেন, ‘প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষের টিকা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সরকার। যা অত্যন্ত চমকপ্রদ। আমরা যে সহযোগিতা করেছি, সেটি অব্যাহত থাকবে।’ 

    বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেন, ‘বাংলাদেশের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সত্যি বিস্ময়কর। ৭০ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে। এখন শিশুদের দেওয়া হচ্ছে। আমরা ৭৫ মিলিয়ন (সাড়ে ৭ কোটি) টিকা দিয়েছি। এমনকি শিশুদের জন্য ১৫ লাখ ভ্যাকসিনের পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতাও দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতা করতে পেরে আমরা গর্বিত।’ 

    টিকাদান কার্যক্রম অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। 





    Source link