
ঈদের পর রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের দাম এখনো স্বাভাবিক হয়নি। বেড়েছে ইলিশ মাছ ও মুরগির মাংসের দাম। তবে সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। এক পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।
মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ টাকায়। আর দেশি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায়। সোনালি (কক) বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে।
মুরগির দামের বিষয়ে বাসাবোর ব্যবসায়ী আলী বলেন, অনেকের বাসায় ঈদের পর মুরগির চাহিদা বেড়েছে, যার কারণে দাম কিছুটা বেশি।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শসা ও ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, টমেটোর কেজি ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, বরবটি ১৭০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ থেকে ৯০ টাকা। কাঁচামরিচের কেজি ১৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ টাকা।
এদিকে মুরগি ও ডিমে বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী দাম হলেও গরুর মাংসের দাম স্বাভাবিক। বাজারভেদে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।
বিভিন্ন মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, কই মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আর পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে। ঈদের পর এসব মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি।
তবে ইলিশ মাছের সরবরাহ থাকার পরও দাম বেড়েছে। এক কেজি ওজনের পদ্মার ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের পদ্মার ইলিশের কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। চট্টগ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজিতে।