
নতুন করে আগামীর পথে- এই স্লোগানকে সামনে রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ। সোমবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দায়িত্বগ্রহণ করেন পরিষদের নয়জন সদস্য। তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান সাবেক শিক্ষাসচিব ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, নির্বাচিত যারা দায়িত্ব নিচ্ছে, তাদের অভিনন্দন। আপনারা ই-ক্যাবকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন এটাই প্রত্যাশা।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, নতুন কমিটির সদস্যরা যে কথা দিয়ে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন, তা যেন পূরণ করতে পারে। এ জন্য আমরা যে কোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকবো।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ই-ক্যাবে এবারই প্রথম নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কোনো কমিটি নির্বাচিত হয়ে এলো। এর মাধ্যমে যে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরী হয়েছে, এটাই সবচেয়ে ভালো বিষয়। মাত্র আট বছরের মধ্যে যে বিশাল একটা ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি তৈরী হয়েছে এজন্য আমরা সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় তিনি এক বছরের মধ্যে ১০ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরির পরিকল্পনার কথা জানান।
ই-ক্যাবের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদে যারা আছেন তারা হলেন- সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, সহসভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক নাছিমা আক্তার নিশা, অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ, পরিচালক সাইদ রহমান, সৈয়দা আম্বারিন রেজা, শাহরিয়ার হাসান ও ইলমুল হক সজীব। এই কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে।
শপথ নেওয়ার পর ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, অনেকেই ভেবেছিলেন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা হয়নি। আমরা একই আছি। আমরা সবাই একসঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নেব।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ই-ক্যাব। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে তিনটি কমিটির মাধ্যমে সংগঠনটি পরিচালিত হয়ে এসেছে। গত ১৮ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে চতুর্থ কার্যনির্বাহী কমিটি পায় সংগঠনটি।