রাজধানীর শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রাথমিকের টিকাদান শুরু

59


করোনা থেকে সুরক্ষায় প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পর এবার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী তথা প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও টিকা পেতে যাচ্ছে। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ন্যায় এবারও শুরুতে রাজধানীর স্কুলগুলোতে শুরু হবে টিকাদান। চলতি সপ্তাহেই এই কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। যেখানে ব্যবহার করা হবে ফাইজারের বিশেষ টিকা। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এই টিকা দেওয়া হবে। 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশে আসলেই দিনক্ষণ ঠিক করার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। তিনি জানান, ঢাকার যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি, সেসব এলাকায় আগে টিকা দেওয়া হবে। 

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী সেবা পক্ষ পালন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিনা মূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ব্লাড সুগার পরিমাপ, ব্লাড প্রেসার পরিমাপ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিভিন্ন সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধক সচেতনতা কর্মসূচি, হৃদ্‌রোগ, লিভার রোগ, স্ট্রোক, জরায়ু ক্যানসার ইত্যাদি রোগ স্ক্রিনিং ও প্রতিরোধ; স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও শরীর চর্চার গুরুত্ব প্রদান। এ ছাড়া বিভিন্ন বিভাগ ও ইউনিটে বিভাগ ভিত্তিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচির পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। 

এ সময় স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক বলেন, শিশুদের টিকা নিয়ে আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকাও মজুত আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশে আসলেই দিনক্ষণ ঠিক করে কার্যক্রম শুরু করব। সুরক্ষা অ্যাপস বাচ্চাদের নিবন্ধনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) শুরু হয়ে গেছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ছাড়াও সারা দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখের মত। সে অনুযায়ী চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কাছে চার কোটি ৪০ লাখ টিকার চাহিদা পাঠায় সরকার। সে অনুযায়ী গত ৩০ জুলাই ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা পাঠায় ডব্লিউএইচও। 

এর আগে গত মাসের শেষের দিকে এই কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু টিকা পেতে বিলম্ব হওয়ায় তা পেছাতে হয়। ৫ বছরের বেশি এসব শিশুদের টিকার কর্ক কমলা রঙের, সিরিঞ্জও স্বাভাবিকের চেয়ে আলাদা বলে জানিয়েছেন টিকা বিতরণ কর্মসূচির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক। 

দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে প্রায় দেড় বছর আগে টিকাদান শুরু করে সরকার। পরে সেটি কমিয়ে ৭০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ১৩ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে। পরিধি বাড়াতে প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের পর এবার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।





Source link