মানবতাবিরোধী অপরাধে ২২ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত

28


মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ময়মনসিংহ ও যশোরের ২২ আসামির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। বুধবার ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে ৮৪ ও ৮৫তম প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থার কো-অর্ডিনেটর মো. সানাউল হক। এই সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

৮৪ তম প্রতিবেদনে যশোরের বাঘারপাড়া ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার মতো ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় ১৫ আসামির বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ডা. লুৎফর রহমান (৭১), খয়বার রহমান (৭০), নুরুল ইসলাম (৬৮), আবুল হোসেন বিশ্বাস (৬৮), আবু বকর (৬৯) ও হোসেন আলী মোল্লা (৭২) গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। বাকি ৯ আসামি এখনো পলাতক।

যশোরে গ্রেপ্তার আসামিরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসলিম লীগের অনুসারী ছিলেন। বর্তমানে হোসেন আলী জাতীয় পার্টি এবং বাকিরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা হামলা চালিয়ে ১০–১২ জনকে আহত, ১৩ জনকে নিহত, ৩ জনকে ধর্ষণ এবং ১০ / ১২টি বাড়িতে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে, ৮৫ তম প্রতিবেদনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, ও কোতোয়ালি এবং নেত্রকোনার কেন্দুয়া এলাকায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫টি অভিযোগ আনা হয় ৭ আসামির বিরুদ্ধে। ৭ আসামির মধ্যে শহিদুল্লাহ ফকির (৭৩), হাবিবুর রহমান ওরফে মেনু মিয়া (৮০) এবং আব্দুল হান্নান ওরফে হান্নান মুন্সি (৭০) গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। বাকি ৪ আসামি এখনো পলাতক।

ময়মনসিংহের গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরাও মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসলিম লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে শহীদুল্লাহ ফকির বর্তমানে মুসলিম লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট, হাবিবুর রহমান জাতীয় পার্টি এবং আব্দুল হান্নান বিএনপি সমর্থক বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলায় ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা হামলা চালিয়ে ৩ জনকে আহত, ৬ জনকে নিহত এবং ১০/১২টি বাড়িসহ বাজারে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।





Source link