অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে করা রিট খারিজ

50


বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে সরকারের পরিপত্র সঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না—মর্মে দায়ের করা একটি রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ১২ মে জারি করা পরিপত্র কঠোরভাবে মানা হচ্ছে এবং হবে—বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেল নিশ্চিত করার পর আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দেন। 

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি আদালতে বলেন, ‘২০২০ সালে করোনার সময় সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকায় দেশের ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সেভ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ বন্ধে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। লোডশেডিং হচ্ছে। সরকার চাচ্ছে এখন যাতে দেশের টাকা বাইরে না যায়। এরপরও অনেকে ফাঁক-ফোকর দিয়ে বিদেশে যাচ্ছেন। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।’ 

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে বলেন, ‘রিটকারীর কনসার্নকে অ্যাপ্রিশিয়েট করি। আমাকে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয়েছে—অপ্রয়োজনে কেউ বিদেশ যাচ্ছে না এবং যাবে না। বিষয়টি আমি নিশ্চিত করছি।’ আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য জানার পর রিটটি খারিজ করে দেন। 

এর আগে, গত ১২ মে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষা সফর, এপিএ এবং কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে ওই পরিপত্র পালনে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে এ এস এম আল সনেট নামে এক ব্যক্তির পক্ষে রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। 





Source link