
জুভেন্টাসের হয়ে অভিষেক ম্যাচটাকে অবিস্মরণীয় কিংবা স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর আখ্যা নিজেই হয়তো দিতে চাইতেন। কিন্তু আনহেল দি মারিয়া পারলেন কই?
মাঠের পারফরম্যান্সে তো দি মারিয়া প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। সাসুওলোর বিপক্ষে জুভেন্টাসের ৩-০ গোলের জয়ে দুটিতেই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের অবদান। প্রথম গোলটি নিজে করেছেন, শেষটি সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন।
কিন্তু ম্যাচের ৬৬ মিনিটে হাঁটুর সংযোগ স্থলে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দি মারিয়াকে। মুহূর্তেই তাঁর স্মরণীয় অভিষেক হয়ে যায় অম্লমধুর। ৩৪ বছর বয়সী তারকার এই চোট শুধু জুভেন্টাসেরই নয়, জাতীয় দল আর্জেন্টিনার কপালেও চিন্তা ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। কারণ, কাতার বিশ্বকাপে তাঁর খেলা নিয়ে তৈরি হয়ে সংশয়।
এ ধরনের চোট দি মারিয়ার আগে থেকেই ছিল। সেটি জানা সত্ত্বেও গোপন রাখেন জুভেন্টাস কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি। পরে অবশ্য ভুল স্বীকার করেছেন তিনি, ‘ওর চোটটা এক সপ্তাহ আগেও ছিল। আমরা যখন ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিলাম, তখনই সম্ভবত ওকে তুলে নেওয়া উচিত ছিল।’
ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দি মারিয়াকে ১০ দিন পর্যবেক্ষণ করবেন চিকিৎসক দল। এর মানে, সিরি ‘আ’ তে সাম্পদোরিয়া ও এএস রোমার বিপক্ষে তাঁকে পাচ্ছে না জুভেন্টাস। তবে ৩১ আগস্ট স্পেৎসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে হিসাব করলেও কাতার বিশ্বকাপ শুরু হতে তখনো আড়াই মাস বাকি। তাহলে দি মারিয়াকে নিয়ে আর্জেন্টিনার এত চিন্তা কীসের?
আসলে আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনিকে ভাবাচ্ছে দি মারিয়া চোটপ্রবণতা। পায়ের মাংসপেশির চোট নিয়ে ক্যারিয়ারের একটা বড় সময় ভুগেছেন তিনি। সেই পুরোনো চোটই নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ অবস্থা নিয়েই ক্লাবের হয়ে খেলা চালিয়ে গেলে বিশ্বকাপেও এমন কিছুর শঙ্কা করছে আর্জেন্টিনা ম্যানেজমেন্ট।
তা ছাড়া এই চোট নতুন ক্লাবের সঙ্গে দি মারিয়ার মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে। এর প্রভাব পড়তে পারে জাতীয় দলেও।
সব ঠিক থাকলে অক্টোবরে বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করবেন স্কালোনি। এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপার অন্যতম দাবিদার ভাবছেন ফুটবলবোদ্ধারা।
আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের শিরোপাখরা ঘোচাতেও বড় অবদান ছিল দি মারিয়ার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে ফাইনালে জয়সূচক ও ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছিলেন তিনিই।