
স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে এসে দর্শকেরা হয়তো ঠিকমতো বসতেই পারেননি নিজেদের আসনে। আসনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া তো আরও অনেক পরের বিষয়। তার আগেই মাঠে দেখছেন ফুটবলাররা গোল উদ্যাপন শুরু করেছে। দর্শকদের জন্য এমন একটি রাত গেছে গতকাল। রাতটিকে বলা যেতে পারে দ্রুততম গোলের রাত।
দ্রুততম গোলের রাতটা শুরু করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। লিগ-১ এ লিলের বিপক্ষে ম্যাচের ৮ সেকেন্ডে গোল করে অবাক করেছেন পুরো স্টেডিয়ামকে। তাঁর এই গোল লিগ-১ এর ইতিহাসে দ্রুততম গোল। ২০০২ সালে লিগ-১ নামে যাত্রা শুরুর পর। ফুটবলের পরিসংখ্যান ওয়েবসাইট ‘মিস্টারচিপ’ এর মতে এর আগে ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে দ্রুততম গোলের ইতিহাস আছে। দ্রুততম গোলটির মালিক হচ্ছেন কায়েনের মিশেল রাও। তিনি ১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কানের বিপক্ষে গোলটি করেছিলেন ৭ দশমিক ৯ সেকেন্ডে। আর এমবাপ্পে গোলটি করেন ৮ দশমিক ৩ সেকেন্ডে।
লা লিগাতেও দ্রুততম গোলের রেকর্ড হয়েছে। তবে লিগ-১ এর চেয়ে একটু ব্যতিক্রম। স্প্যানিশ লিগের ইতিহাসে জন্মদিনে দ্রুততম গোল করার রেকর্ড। গোলটি করেছেন বার্সার নতুন রিক্রট ররার্ট লেভানডোভস্কি। তিনি রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ৪৪ সেকেন্ডে গোলটি করেন। এর আগের রেকর্ডটি ছিল সোসিয়েদাদের সাবেক স্ট্রাইকার ফার্নান্দো আনসোলার। তিনি ৫৫ সেকেন্ডে করেছিলেন অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে। লেভার দ্রুততম গোলের রেকর্ডটি ৩৪ তম জন্মদিনে। ১৯৭৪ সালের ম্যাচের গোলের দিন আনসোলারও ৩৪ তম জন্মদিন ছিল। জন্মদিনে লেভা শুধু দ্রুততম গোলের রেকর্ডই করেননি গড়েছেন অনন্য এক রেকর্ডও। হুলিও সানিলাস ও ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনাল্ডোর পর তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে লা লিগায় জোড়া গোলের রেকর্ড গড়েছেন। বার্সার ৪-১ গোলের জয়ে বাকি দুই গোল করেছেন উসমান দেম্বেলে ও আনসু ফাতি। আর সোসিয়েদাদের পক্ষে গোলটি করেছেন আলেক্সান্ডার ইসাক।
অন্যদিকে বার্সেলোনা ও পিএসজির মতো দ্রুততম গোলের রেকর্ড না হলেও বড় জয় পেয়েছে বার্য়ান মিউনিখ। ভিএফএল বোচুমকে নিয়ে ছেলে খেলা খেলেছে বুন্দেসলিগার দলটি। প্রতিপক্ষকে ৭-০ গোলে হারিয়েছে লিগ চ্যাম্পিয়নরা। দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন সাদিও মানে, আর একটি করে গোল করেছেন লিরয় সানে, ম্যাথিয়াস ডি লিট, কিংসলে কোমান ও সার্জি নাব্রির। বাকি গোলটি করেছেন ক্রিস্টিয়ান গামবোয়া আত্মঘাতী।