
উইম্বলডনে নতুন এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এক টেনিস কোচ একাই ২৭ প্যাকেট দই নেওয়ায় শোরগোল পড়ে গেছে। এ নিয়ে উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ কোচ ও খেলোয়াড়দের ই-মেইলে সতর্কবাতা পাঠিয়েছে।
কোন কোচ এক দিনে ২৭ প্যাকেট দই খাচ্ছেন, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। কোচ অবশ্য এত বেশি দই নিয়ে ভুল করেননি। তাঁর দৈনিক ভাতার সমপরিমাণ খাবারই কিনেছেন আউটলেট থেকে। তবে অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোচের কাজটি ভালো মনে করেনি। কারণ, বর্তমানে ইংল্যান্ড দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সংকটের মধ্যে আছে। ভবিষ্যতে যেন কেউ এমনটা না করেন, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে।
রাফায়েল নাদাল-নেভাক জোকোভিচসহ সবাইকে তাই ই-মেইলে জানানো হয়েছে ‘সুবিবেচনা’ করে খাবার কিনতে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, ই-মেইলের সঙ্গে দেশের জীবনযাত্রার সংকটের কোনো সম্পর্ক নেই।
উইম্বলডনে প্রত্যেক খেলোয়াড় খাবারের জন্য পান ১০৫৫ টাকা করে। কোচেরা পান এর অর্ধেক। এ টাকার সমমূল্যে তাঁরা যেকোনো খাবার কিনতে পারবেন।
উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের জন্য ছয়টি আউটলেট নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। যেখানে দুটি কফি শপ, স্যান্ডউইচ ও রেস্টুরেন্টের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর মাদক সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে।
গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে খাবার নিয়ে বিতর্ক এটিই প্রথম নয়। এর আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও এ ধরনের সমস্যা হয়েছিল। সেবার পরিস্থিতি এতটাই ঘোলাটে হয়েছিল যে, কর্তৃপক্ষ খাবার খরচ দেওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল।