
অবিলম্বে স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে না পারলে শ্রীলঙ্কা শাটডাউন হয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল ওয়েরাসিংহে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির নিউজনাইট অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন।
নন্দলাল ওয়েরাসিংহে আরও বলেছেন, প্রয়োজনীয় পেট্রোলিয়ামের জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক অর্থ পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বেলআউট প্যাকেজ পাওয়া যাবে কি না, সেটিও নির্ভর করছে একটি স্থিতিশীল সরকারি প্রশাসনের ওপর।
স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার বিক্ষোভ করছে সাধারণ মানুষ। ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করে প্রথমে মালদ্বীপে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। পরে সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সৌদি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে সিঙ্গাপুরে যান। সিঙ্গাপুর থেকে ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা এখনো কার্যত অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গভর্নর নন্দলাল ওয়েরাসিংহে জানিয়েছেন, একটি স্থিতিশীল প্রশাসন ছাড়া প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় ও সরবরাহ কীভাবে সম্ভব, তা তিনি জানেন না। এই অর্থনৈতিক সংকট থেকে বের হওয়ার পথ তিনি দেখতে পাচ্ছেন না।
নন্দলাল ওয়েরাসিংহে বলেছেন, এ মাসের শেষের দিকে আমরা সম্ভবত ডিজেলের অন্তত তিনটি চালান ও পেট্রলের একটি বা দুটি চালানের জন্য অর্থায়ন করতে পারব। এর বাইরে পর্যাপ্ত বৈদেশিক অর্থ সংগ্রহ করতে পারব কি না, সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার পেট্রলের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা। যদি তা করা না যায়, তবে গোটা দেশ শাটডাউন হয়ে যাবে। এর জন্য আমাদের এখনই একজন প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ দরকার, যাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
সংকট মোকাবিলায় বেলআউট প্যাকেজ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি বলেছেন, আশা করি ঋণদাতাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনার অগ্রগতি হবে। তবে ঋণ পেতে কত সময় লাগবে, তা নির্ভর করছে একটি স্থিতিশীল প্রশাসনের ওপর।