রাশিয়ার ওপর ৭ম দফায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ইইউ

38


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। পাল্টে যাচ্ছে বৈশ্বিক সমীকরণও। এই যুদ্ধের প্রভাবে খাদ্য সংকটের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বিশ্ব। এমন অবস্থায় ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানির বিষয়ে অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এরই মধ্যে রাশিয়ার ওপর ৭ম দফায় অবরোধ আরোপের পরিকল্পনা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন–ইইউ। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার ইউরোপীয় কমিশনের ডেপুটি কমিশনার মারোস সেফকোভিচ বলেছেন, ‘স্বর্ণ রপ্তানি থেকে রাশিয়া বিপুল অর্থ আয় করে। এই খাতটিতেই ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে ইইউ। শিগগির এ বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা আসবে।’ 

এদিকে, ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর জবাবে রাশিয়াকে শাস্তি দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার ওপর এর আগে বেশ কয়েক দফায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। জব্দ করেছে দেশটির ৩০ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এরই মধ্যে, ইইউয়ের এই নতুন নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর বেশ কড়া আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

এদিকে, ইউক্রেনে আটকে পড়া খাদ্যশস্য রপ্তানি নিয়ে অচলাবস্থা কাটাতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওদেসায় আটকা পড়া ইউক্রেনের গম ও অন্যান্য খাদ্যশস্য রপ্তানির ওপর অবরোধ তুলে নিতে একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে দুই পক্ষই। শিগগির এই বিষয়ে একটি চুক্তি হতে পারে। 

জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হচ্ছে। এই চুক্তির ফলে খাদ্য সংকটের দ্বারপ্রান্তে থাকা বিশ্বে আবারও খাদ্য সরবরাহ অনেকটাই বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। 

অপরদিকে, ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বৈঠকে বসেছিল বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ এর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি নির্ধারকেরা। সম্মেলনে তাঁরা বৈশ্বিক মন্দা ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বিশ্বের সম্ভাব্য মন্দার জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছেন। তবে রাশিয়া জোটটির এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। জি-২০ বৈঠকে রাজনীতি নিয়ে কম আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী মুল্যানি ইন্দ্রাবতী। 





Source link