
ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছে যুদ্ধ করার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, ‘পরমাণুকেন্দ্রটি ধ্বংস হলে, তা হবে আত্মহত্যার শামিল।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে লভিভে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
গত এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো গুতেরেস ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বৃহস্পতিবারের এ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনিও জাতিসংঘ প্রধানের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলেছেন, পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস হলে আরেকটি চেরনোবিল বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
গত মার্চে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের আশপাশের অঞ্চল দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এরপর থেকে এ এলাকায় যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশে কামানের ভারী গোলার বিস্ফোরণ বেড়েছে। এসব হামলার জন্য কিয়েভ ও মস্কো পরস্পরকে দায়ী করছে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশে হামলা করছে। বিশ্ব এখন পরমাণু বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। রাশিয়া দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছে।’
লভিভের বৈঠকে তিন নেতাই (গুতেরেস, জেলেনস্কি ও এরদোয়ান) এ অঞ্চলকে নিরস্ত্রীকরণ করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের তথ্য সুরক্ষা কেন্দ্র এক টুইটার পোস্টে বলেছে, রুশ বাহিনী ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছে। তারা যেভাবে গোলাবর্ষণ করছে, তাতে মনে হচ্ছে পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে তারা সত্যি সত্যি হামলা চালাতে পারে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধটি আলোচনার টেবিলে শেষ হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।