
তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে আলোচনার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বিতর্কিত সফরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই ঘোষণা দেওয়া হলো। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টির ঘোষণা দিয়ে বলেছে, আসন্ন বর্ষায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করতে বৈঠকে বসবে উভয় পক্ষ। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের শর্ত–সুবিধা, ডিজিটাল ট্রেড এবং দুর্নীতি বিরোধী মানদণ্ড নিয়ে আলোচনা করা হবে।
অফিস অব ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভের কর্মকর্তা সারাহ বিয়ান্সে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা করেছি। যা আমাদের একটি ন্যায্য, অধিকতর উন্নয়নমুখী এবং ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি স্থিতিশীল অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাবে।’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক চালু থাকলেও তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল না। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে। এর আগে, কোভিড চলাকালীন ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ানের মধ্যে মোট বাণিজ্যিক লেনদেন ছিল ১৬০ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেওয়ায় চীনের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যেতে পারে। পেলোসির তাইওয়ানের সফরের পর থেকেই দেশ দুটির মধ্যে এক ধরনের অস্থিতিশীল সম্পর্ক বিরাজ করছে। চীন পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়ার ভূখণ্ডটির চারপাশে সরাসরি সামরিক মহড়া চালিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই ঘোষণা চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কে আস্থার সংকট তৈরি করবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।