জেলেনস্কির শান্তি প্রস্তাবের পরপরই ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

22


ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের দাবি, রাজধানী কিয়েভসহ অন্তত ৮ বড় শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রুশ সশস্ত্র বাহিনী। এসব হামলায় অন্তত ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বেসামরিক স্থাপনা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি আনার লক্ষ্য ১০ দফা প্রস্তাবের পরপরই এই হামলা হলো।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার কিয়েভসহ ইউক্রেনের ৭টি শহরে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এমন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলতি মাসে প্রথমবারের মতো হলো। এর আগে গত অক্টোবরে রাশিয়া ইউক্রেনজুড়ে কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল। 

সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, ইউক্রেনের দাবি—রাজধানী কিয়েভ ছাড়াও ক্রিভি রিহ, রিভনি, সুমি, পলতাভা, খারকিভ এবং লভিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চলমান বিশ্বের শীর্ষ ২০ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ এর সম্মেলন থেকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই এই হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে কিয়েভ। 

এদিকে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেছেন—এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মূলত রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের শান্তি প্রস্তাবের জবাব। তাঁরা ইউক্রেনের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে কি ভাবে তা এই হামলার মাধ্যমে পরিষ্কার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে কুলেবা বলেছেন, ‘শান্তি আলোচনার প্রস্তাবের জবাব এভাবেই দিল রাশিয়া। আমাদের অস্ত্র ও নৈতিকতার জোরেই এই সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব।’ 

এর আগে, ক্রেমলিন বলেছে—মস্কো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব বিবেচনা করেছে। তবে মস্কো বিশ্বাস করে, কিয়েভের শান্তি আলোচনার সদিচ্ছা নেই। এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, ‘আমরা প্রস্তাবটি দেখেছি। আমরা এখানে মূল যে বিষয়টি উল্লেখ করতে চাই যে—ইউক্রেনীয় পক্ষের কার্যত এবং বিধিসম্মত উভয় অবস্থানই ইঙ্গিত দেয় যে, ইউক্রেন আলোচনা করতে পারে না এবং আলোচনা চায়ও না।’ 





Source link