
শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের এখনই দেশে ফিরে আসার সঠিক সময় নয়। কারণ তিনি ফিরে এলে দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে পারে। মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারকে রনিল এমন মন্তব্য করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিক্রমাসিংহে বলেছেন, ‘আমি মনে করি না এখনই তাঁর (গোতাবায়া) ফিরে আসার সময় হয়েছে। তিনি শিগগিরই দেশে ফিরবেন এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’
বিক্রমাসিংহে প্রশাসনিক হস্তান্তর সংক্রান্ত সমস্যা এবং অন্যান্য সরকারি ব্যবসা মোকাবিলার জন্য রাজাপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বলেও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তবে গত মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বর্তমান মন্ত্রিসভার মুখপাত্র বান্দুলা গুনেওয়ারদেনা ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে বলেছিলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে সিঙ্গাপুর থেকে শ্রীলঙ্কায় ফিরে আসবেন। তিনি পালিয়ে যাননি। তবে তিনি কবে ফিরবেন, সেটি নিশ্চিত নয়।
এর আগে নজিরবিহীন গণবিক্ষোভের জেরে গত মাসে শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে মালদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। পরে সেখান থেকে তিনি সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকেই ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করে যান। এরপর নির্বাচনে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট থেকে স্থায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
সিঙ্গাপুরের স্থানীয় দৈনিক স্ট্রেইটস টাইমস জানিয়েছে, গত ১৪ জুলাই সৌদি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে চেপে সিঙ্গাপুরে পৌঁছান ৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্ত্রী ও দুজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ছিলেন।
এরপরই গুঞ্জন ওঠে, গোতাবায়া কত দিন থাকতে পারবেন সিঙ্গাপুরে। তখন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘গোতাবায়াকে ‘‘একটি ব্যক্তিগত সফরে’’ সিঙ্গাপুরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তিনি সিঙ্গাপুরে বসবাসের জন্য আশ্রয় চাননি। সিঙ্গাপুর আশ্রয়ের জন্য অনুরোধ মঞ্জুর করে না।’