
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬ শিশু রয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্যালেস্টাইন ইসলামি জিহাদের সদস্য রয়েছেন। প্যালেস্টাইন ইসলামি জিহাদের নেতা খালেদ মনসুর এবং তাইসির জাবারি হামলায় নিহত হয়েছেন।
আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৬৫ জন। পশ্চিম জেরুজালেমেও রকেট হামলার সতর্কতার সাইরেন ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইসরায়েলি এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শুক্রবার থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার দিনভর হামলার ঘটনা ঘটেছে। জাবালিয়াসহ গাজা উপত্যকাজুড়ে বেসামরিক নাগরিক ও স্থাপনা লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের দাবি, গত শুক্রবার থেকে ফিলিস্তিন প্রায় ৬০০ রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ করে। আর হুমকি মোকাবিলায় পাল্টা এই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনির মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে মিশর। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ জন্য দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে কায়রো।
এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় হামলার বিষয়ে ইসরায়েল ও গাজার প্রতিরোধযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধানের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন গাজা ও এর আশপাশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলিকে অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। ইইউ সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম রাখার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে আরও হতাহতের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।’
উল্লেখ্য, গাজায় ২০২১ সালের মে মাসে টানা ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর সবশেষ এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটল। সে সময় বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি ও দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়।