গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১০ 

39


ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিআইজের শীর্ষ কমান্ডারসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী একজন মেয়ে শিশুও রয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, এ সপ্তাহের শুরুর দিকে প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) গোষ্ঠীর এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করার পর তাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক হুমকি এসেছিল। সেই হুমকির প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েল সুনির্দিষ্ট ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান’ চালিয়েছে। 

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, নিহতদের মধ্যে পিআইজের শীর্ষ কমান্ডার তাইসির জাবারিসহ চার সন্ত্রাসী ও পাঁচ বছর বয়সী একজন মেয়ে ছিল। এ ছাড়া আহত ছিল অন্তত ৫৫ জন। তবে ইসরায়েলের একজন সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, অন্তত ১৫ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন বলে তাঁরা অনুমান করছেন। 

এ হামলার পর পিআইজে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করেছে। 

এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তারা ফিলিস্তিনের জঙ্গি অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে স্থানীয় সময় শুক্রবার গভীর রাতে আবার হামলা শুরু করেছে। 

ইরানের রাজধানী তেহরান সফরের সময় পিআইজে মহাসচিব জিয়াদ আল নাখালা বলেছেন, ‘আমরা এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেব এবং একটি লড়াই হবে যাতে আমাদের জনগণ জিতবে।’

এদিকে গাজা উপত্যকা শাসনকারী হামাস বলেছে, সশস্ত্র দলগুলো সংঘবদ্ধ এবং তারা চুপ করে বসে থাকবে না। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে ইসরায়েল পশ্চিম তীরে পিআইজের প্রধান বাসেম সাদিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের জেনিন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর গ্রেপ্তারের পর পিআইজে ইসরায়েলকে ‘হুমকি দিয়েছিল’ বলে দাবি করেছে ইসরায়েল এবং তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাজায় অভিযান চালিয়েছে।

পিআইজে একটি ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী। এদের সদর দপ্তর সিরিয়ার দামেস্কে। পিআইজে মাঝে মাঝেই রকেট হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েল।





Source link